মেহেরঘোনা রেঞ্জের মেহেরঘোনা সদর বিটের আওতাধীন মাছুয়াখালী মৌজার আরএস দাগ নং-৯৬০ এর সরকারি বনাঞ্চলের অচিন্যা মুড়া এলাকায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের সংবাদ পাইয়া মেহেরঘোনা রেঞ্জের সদর বিট ও অন্যন্য বিটের ষ্টাফসহ তথায় গিয়ে দেখা যায় যে, পার্শ্বে উল্লেখিত আসামী ০১নং আবু তাহের (৪২) পিং-মৃত মোহাম্মদ হোসেন, ০২নং সফি আলম (৩৫), পিং-মৃত মোহাম্মদ হোসেন, ০৩ নং মিজবাহ উদ্দিন (২৩) পিং-সিরাজ উদ্দিন, ০৪নং পারভেজ, পিং-আবু তাহের, ০৫ নং রফিক পিং মৃত আবদুস সাত্তার, সর্বসাং-পূর্ব চান্দেরঘোনা, সর্বথানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন অবৈধভাবে বনভূমি জবরদখল পূর্বক ঘর নির্মাণ করতেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আসামীদেরকে ঘর নির্মাণে নিষেধ ও বাধা প্রদান করা মাত্র ঘটনাস্থলে ঘর নির্মাণরত বনদুস্যদের হাতে থাকা লোহার শাবল দ্বারা ফরেষ্টার জনাব মোঃ মামুনুর রশিদ খাঁন সাহেবের এর মাথায় ও শরীরে অন্যান্য জায়গায় উপর্যুপুরি আঘাত করিতে থাকে; সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য আসামীরা তাহাদের হাতে থাকা লম্বা কিরিচ, দা, শাবল ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা বনকর্মীদের উপর উপর্যুপুরি আঘাত ও গুলি করতে থাকে। বনদুস্যদের আক্রমনে বিট কর্মকর্তা জনাব মামুনুর রশিদ, বন প্রহরী জনাব শহিদুল ইসলাম (সোহাগ), বন প্রহরী জনাব সুবর আলী, বন প্রহরী জনাব আশরাফুল ইসলাম, বন প্রহরী জনাব সমীর চন্দ্র কর, বাগান মালী জনাব আব্দুল মান্নান, বাগান মালী জনাব আব্দুর রশিদ বন আহত হন । আহতদের মাথায় আঘাত করার চেষ্টাকালে সকল বনকর্মীরা আত্মরক্ষার্থে হাত দিয়া ঠেকানোর সময় দুই হাতের তালুতে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। বন বিভাগের লোকজনের উপর গুলি বর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হইলে আত্মরক্ষার্থে বন বিভাগের বনকর্মীদের প্রাণে ভয়ে অফিসে চলে আসে। গুলিবিদ্ধ বনকর্মী ও জখমীদেরকে উদ্ধার পূর্বক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনিয়া ভূর্তি করতঃ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং বর্তমানেও চিকিৎসাধীন রহিয়াছে। দুপুরে অভিযান চালিয়ে লুষ্ঠিত চাইনিজ রাইফেলটি গুলিবিহীন দ্বিখন্ডিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জনাব মোঃ মামুন মিয়া, রেঞ্জ কর্মকর্তা, মেহেরঘোনা রেঞ্জ অবৈধভাবে জবরদখলকারী বনদুস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হইতেছে বলিয়া জানান।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ জানান, সরকারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এভাবে হামলার শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া আর কারা ইন্দন যুগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সরকারী সম্পদ রক্ষায় কোন অপশক্তিকে ছাড় দেয়া হবেনা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS